| |
               

মূল পাতা রাজনীতি আওয়ামী লীগ আমাদের সঙ্গে অনেক ইসলামী দল জোট করতে চায় : আমু


আমাদের সঙ্গে অনেক ইসলামী দল জোট করতে চায় : আমু


রহমত নিউজ ডেস্ক     13 March, 2023     10:25 PM    


১৪ দলের বাইরে ইসলামি দলগুলো নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ আলাদা জোট করতে পারে এমন ইঙ্গিত দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য এবং ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেছেন, আমাদের সঙ্গে ইসলামি অনেক দল জোট করতে চায়। কিন্তু আমি আগেও বলেছি আমরা একটা আদর্শিক জোট। তারা যদি আলাদাভাবে নিজেরাই জোট গঠন করে তবে তাদের প্রতি আমাদের সমর্থন বা সরকারের সমর্থন থাকবে। যেমন তারা আমাদের কর্মসূচিতে আসলো আমরাও গেলাম বা প্রতিনিধি পাঠালাম। কিন্তু ১৪ দল একটা আদর্শভিত্তিক জোট। এখানে অন্যকোনো ইসলামি দলকে নেওয়া সম্ভব নয়।

আজ (১৩ মার্চ) সোমবার বিকালে রাজধানীর ইস্কাটনে আমির হোসেন আমু'র নিজ বাসভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভেকেট মৃণাল কান্তি দাস, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের যুগ্ম  আহবায়ক ডা. অসিত বরণ রায়, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাৎ হোসেন, গণআজাদী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এস কে সিকদার, বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ খান, জাতীয় পার্টি জেপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল খায়ের সিদ্দিকী আবু, গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সভাপতি জাকির হোসেন প্রমুখ।

১৪ দলীয় জোটের বিষয়ে জোটের সমন্বয়ক আমু বলেন, ১৪ দলকে হালুয়া রুটির দল নয়, ১৪ দল আদর্শিক জোট।  এখানে কোনো ফাটল নেই। যেহেতু আদর্শের ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে, অনেক দল অনেক কিছু পায়নি, তারপরও জোটে আছে। দ্বিধাবিভক্তি নেই, ১৪ দল নিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে চায়। সংবিধানের চার মূলনীতিতে জিয়া সংবিধানের উপর আঘাত করেছিল। জিয়া এদেশে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির প্রবেশ ঘটিয়েছিল। এই দেশে সংবিধান নিয়ে কথা বলার অধিকার দেওয়া হবে না।

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিস্ফোরন ও অগ্নি সংযোগ নাশকতা কিনা সে বিষয়ে তদন্তের দাবি জানিয়ে আমু বলেন, বিভিন্ন জায়গায় বিস্ফোরণ এবং অগ্নি সংযোগের ঘটনাগুলোর কারণে আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করছি। আমাদের অনেক সন্দেহ হয়। কারণ বঙ্গবন্ধুর সময়েও এরকম থানা লুট, পাটের গুদামে আগুন এরকম বিভিন্ন কর্মকান্ড সংগঠিত হতো।  আজকে কোন কোন জায়গায় গ্যাস বিস্ফোরণ, অগ্নি সংযোগ ঘটছে। এটা হতে পারে না। আমরা চাই সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা বের হয়ে আসুক। আমরা চাই সুষ্ঠু তদন্ত, কেউ হস্তক্ষেপ করবে না, কে জড়িত তা বের হয়ে আসবে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর  এসব বিষয়ে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন। এ ব্যাপারগুলো সামনে আসলে বোঝা যাবে কে এর সাথে জড়িত। আমরা মনে করি বিশেষ দৃষ্টি দিয়ে এসব ঘটনা খতিয়ে দেখা উচিত।